
নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:শীতকালীন অধিবেশনের সময় ফাঁকা সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যসভায় ৩ টি কৃষিবিল পাস করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।তার পর থেকেই কার্যত দেশের অভ্যন্তরে বিপুল ডামাডোল শুরু হয়েছে।কৃষক বিক্ষোভের জেরেই কার্যত এবছর বাতিল হয়েছে ঐতিহাসিক প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান।তার পরের ঘটনা সবারই জানা।কিন্তু এখনো পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় গত ৭২ দিন ধরে দিল্লী সীমান্ত ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি কৃষক।এদিকে সরকারও পিছু হটতে নারাজ।কৃষক আন্দোলনকে তুলতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সরকারও।এমত অবস্থায় রবিবার ফের মিছিলের পথে হাঁটল ‘সারা ভারত কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠন’।
‘তিনটি কালা কৃষিআইন ও বিদ্যুৎবিল ২০২০’ বাতিলের দাবীতে দীর্ঘ ৭২ দিন ধরে চলা দিল্লীতে আন্দোলনরত কৃষকদের সংহতি জানিয়ে মশাল মিছিল সংগঠিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ীতে। রবিবার কেশিয়াড়ী ব্লকের কেশিয়াড়ী বাজার এলাকায় সারা ভারত কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠন এর পক্ষ থেকে মশাল মিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়।
অবিলম্বে কৃষিআইন ও বিদ্যুৎ আইন ২০২০ প্রত্যাহার করার দাবীতে সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যের সর্বত্র এই কর্মসূচি চলছে বলে জানিয়েছেন ‘সারা ভারত কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের’ নেতৃবৃন্দ।রবিবার সন্ধাবেলায় এই মশাল মিছিল সারা কেশিয়াড়ী বাজার এলাকা পরিক্রমা করে।
আজকের এই মশাল মিছিল থেকে অবিলম্বে বিতর্কিত কৃষিআইন ও নতুন বিদ্যুৎ আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।এমনকি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে কেরোসিন তেলের ভর্তুকি তুলে দেওয়া, পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানো হয়।মিছিল থেকে ‘সারা ভারত কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের’ দাবি করে যতদিন না পর্যন্ত এই সমস্ত সমস্যার সুরাহা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত লাগাতার গোটা দেশ জুড়ে তারা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাবে।