চিনা আলো বর্জন হওয়ায় করোনা অবহেও মাটির প্রদীপ বেশ জ্বলে উঠেছে
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা আবহে এবছর দুর্গাপুজো তেমন ঘটা করে হয়নি। করোনা সংক্রমণ রুখতে কালীপূজোতেও জারি করা হয়েছে নানা বিধি নিষেধ। করোনা পরিস্থিতিতে পুজো পার্বন সেরকম হচ্ছে না বলে মাটির জিনিসের চাহিদা সেরকম নেই বললেই চলে। তাই এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সংকটে দিন কাটাচ্ছেন তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়ার মৃৎ শিল্পীরা। কাল কালীপুজো, কিন্তু দোকানে ভিড় তেমন দেখা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রদীপের দোকানে তেমন ভিড় লক্ষ করা যায়নি। তবে করোনা আবহে প্রদীপের বিক্রি যে বন্ধ, তা কিন্তু বলা যাবে না।
এমনিতেই চিনা বৈদ্যুতিক আলো গত কয়েক বছর থেকে বাজার ছেয়ে নেওয়ায় মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে গিয়েছিল। কিন্তু এবছর চিনা আলো বর্জন হওয়ায় মাটির প্রদীপের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি না থাকলে প্রদীপের বিক্রি এ বছর বেশ বাড়ত, বলে আশা করা যাচ্ছে। পুজোর ১ সপ্তাহ আগে থেকেই নাওয়া খাওয়া ভুলে মাটির প্রদীপ সহ অন্যান্য সামগ্রী বানাতে ব্যস্ত ছিলেন শিল্পীরা।
আলোর উৎসব দেওয়ালিতে বাঙালীরা বংশ পরম্পরায় মাটির প্রদীপে তেল সলতে ভরে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশে বাতি দিয়ে থাকেন। তাই মাটির প্রদীপের প্রচলন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মৃৎশিল্পীরাও বংশ পরম্পরায় মাটির প্রদীপ বিক্রি করে আসছেন।