শীতের মরশুমে কংসাবতী নদীর পাড়ে ভিড় জমেছে পিকনিক প্রেমী মানুষের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ডিসেম্বর মাস শুরুর সাথে সাথে পিকনিক প্রেমী মানুষের মন আর থেমে থাকেনা। যেন মনে হয় কোনো সবুজের ঘেরা প্রাকৃতিক, গাছ, নদী, সমুদ্র, পাহাড় ঝর্ণা, আর্কষণ করছে,আর সঙ্গে বন্ধু, বান্ধব, পরিবার আত্মীয়, সজন, নিয়ে হকো চড়ুই ভাতি। তাই পিকনিক প্রেমিরা ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন পার্ক, নদী ধার, ঝর্ণা, পাহাড়, সাগরের ধারে ভিড় জমায়। এমনি একটি স্থান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ২ নং ভরপুর অঞ্চলের তিলাপাটনা নামে একটি পিকনিক স্পট রয়েছে। এলাকাটি কংসাবতী নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে, এই পিকনিক স্পষ্ট স্থানীয় ভাষায় তেমুয়ানি নামে পরিচিত। এর কারণ কংসাবতী নদী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।তাই এই জায়গাটাকে মানুষ পিকনিক করা জন্য বেছে নিয়েছে। যেখানে প্রতিবছর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করার মতো থাকে।
যদিও পিকনিক করতে আসা মানুষজনের দাবি, এই মনোরম পরিবেশে মানুষের সুবিধার জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন রয়েছে ইলেট্রিক, শৌচালয় বসার সিট এবং সেড নেই, বৃষ্টির জন্য বাচতে একটি আট চালা, রক্ষনাবেক্ষনের জন্য এক জন মানুষের দরকার রয়েছে। তাদের দাবি, সরকারি উদ্দোগে তাও হয়নি। প্রতি বছর ডিসেম্বর আসলেই স্থানীয় অঞ্চল প্রশাসন একটু কাজ দেখিয়ে আবার থমকে যায়। আদতে পর্যটকদের দাবী শোনার কেউ থাকে না। এখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় স্থানও রয়েছে। সব মিলিয়ে অবহেলিত হয়ে রয়েছে এই পিকিনিক স্পট। তাদের একটাই দাবি, জায়গাটি নিয়ে সরকার উদ্যোগ নিক এবং যেগুলো দাবী আছে সেগুলো পূরন হোক। অপরদিকে এই নিয়ে ডেবরার বিধায়ক সেলিমা খাতুন বিবি জানান, “বিষয়টি নিয়ে এর আগেও আমি পর্যটন দপ্তরে বিস্তারিত জানিয়েছিলাম। ফান্ড আনার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু জমি জায়গা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য তা হয়ে ওঠেনি।ওখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় স্থান রয়েছে। তাই আমরা পিছিয়ে ছিলাম। আমি আবার একবার ওনাদের সাথে কথা বলে উদ্যোগ নেব”।