পাঁশকুড়ায় ৯০ ফুট উচ্চতার তারাপীঠ মন্দিরের উদ্ভোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙালির কাছে তারা মায়ের দর্শন একটা আলাদা অনুভূতি। তবে ইচ্ছে থাকলেও দূরত্ব আবার কখনো ব্যপক ভিড়ের জন্য মায়ের দর্শন অনেক সময় বাদসাধে। আর এর সমাধান জেলাবাসীদের কাছে দ্রুত আস্তে চলেছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কারন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের চক্ গোপাল গ্রামে তৈরী হয়েছে দ্বিতীয় তারাপীঠের মন্দির। প্রায় ৬ একর জায়গার ওপর ৯০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন তারামায়ের মন্দির। ৫১ টি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হবে দেবীদর্শনে।মাঠের মাঝে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে চকগোপাল গ্রামের বেশকিছু মানুষ বিশেষ আর্থিক সহায়তা সহ পার্শ্ববর্তী বেশকয়েকটি গ্রামের মানুষের বিশেষ সহযোগিতায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী হচ্ছে তারাপীঠের আদলে তারামায়ের মন্দির।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকড়ারর মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগোপালে দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দিরের উদ্বোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাস্তায় মানুষজনের উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় উৎসুখ মানুষজন।মাইসোরায় নিহত তৃনমূল নেতা কুরবান শা -এর দাদা আফজাল শা -এর সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু অধিকারী। মন্দিরে ঢোকার আগে স্বামী বিবেকানন্দর স্টাচুতে মাল্যদান করে তারা মায়ের সামনে আরতিও করেন। এদিন একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল নিহত কুরবান শা -এর দাদা আবজল শা কেও। এদিন তিনি বলেন, “আমি সনাতন ধর্মে আছি, থাকবো। মন্দির কতৃপক্ষ যদি সুযোগ দেন, তাহলে অবশ্যই মন্দিরের সেবা কাজে নিযুক্ত থাকবো”।মূলত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর শুভেন্দু অধিকারী মেলা, খেলা সহ একাধিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করে নিতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকেই।